আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেন তবে এগুলো বিক্রি করে আপনি ইনকাম ট্যাক্স হ্রাস করতে পারেন। সরকার কয়েক বছর আগে লগ-টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স অর্থাৎ এলটিসিজি বাস্তবায়ন করেছে। এর আওতায় শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডগুলি যদি কোন আর্থিক বছরে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করে থাকে, তবে তা করমুক্ত থাকবে। তবে লাভের পরিমাণ যদি আরও বেশি হয় তবে এতে 10 শতাংশ এলটিসিজি কর দিতে হবে।
কীভাবে এই নিয়মের সুবিধা ভোগ করবেন
এই নিয়মের সুবিধা নিতে হলে প্রথমে আপনার বিনিয়োগটির উপর মনোযোগ দিন। স্টকগুলিতে বা মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে, তারা এখন শেয়ারবাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেষ ট্রেডিংয়ের দিনে স্টক বিক্রি করে লাভ বুকিং করছে। নিয়ে যাও। মুনাফা বুকিংয়ের কথা মনে রাখবেন যা 1 লক্ষ টাকারও কম। এটি থেকে, আপনি আপনার লগ টার্মের মূলধন লাভ করের সর্বাধিক উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
এর ভিতর যেসব শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের লাভের পরিমাণ বেশি সেগুলিকে শেষ কারবারের দিনে বিক্রি করে নিজের লাভের পথ চূড়ান্ত করে নিন। মনে রাখবেন সেই সব ক্ষেত্রেই প্রফিট লাভ করবেন যেগুলোর মূল্য 1 লাখ টাকার কম। এর মাধ্যমে আপনি লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স এর সর্বোচ্চ সুবিধা তুলতে পারেন। কারণ আপনার আমদানি যাই হোক না কেন লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন এর মাধ্যমে আপনার টাকা 1 লাখ পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত থাকবে। মানুষ আজকাল এভাবেই ইনকাম ট্যাক্স কম করছে।
কেন গ্রহণ করবেন এই সুবিধা
আয়কর বিষয়ক আইনজীবী রাজীব তিওয়ারির মতে, প্রতি বছর আয়কর এর উপর এই ছাড় পাওয়া যায় না। অর্থাৎ আপনি যদি এই বছর লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন এর লাভ না উঠান তাহলে এই সুবিধা আর পরে পাবেন না। পরের বছর এই সুবিধা আবার এক লাখ টাকা পর্যন্ত সীমিত থাকবে। সুতরাং এই বছরেই এই সুবিধাটি গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পরে আবারো কিনতে পারেন শেয়ার কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড
যদি বিনিয়োগকারীর মনে হয় তার শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড ভালো লাভ দিচ্ছে, তাহলে সোমবার অর্থাৎ পরবর্তী অর্থবছরের প্রথম দিন সেটি আবারো কিনতে পারেন। এভাবে তার কাছে নিজের শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড আবার ফিরে আসবে এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত থাকা যাবে।
আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে জানুন
শেয়ার বিক্রি এবং কেনার জন্য ব্রোকারেজ চার্জ দিতে হয়। বেশ কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ড হাউস এক্সিট লোড নেয়। যদিও এই সকল চার্জ খুবই নগণ্য, তবুও এগুলো মাথায় রেখে হিসেব-নিকেশ করা উচিত। আপনি যদি কোন শেয়ার বিক্রয় করতে চান, তাহলে একটি স্তরে আবার সেটি পুনরায় ক্রয়ও করা যায়।
Comments
Post a Comment