Skip to main content

Mutual Fund: ৫০০ টাকার SIP থেকে হবে ১৬ লাখ টাকার ফান্ড!


মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) - এ বিনিয়োগের মাধ্যমে ভালো সুবিধা লাভ করা যায়। কিন্তু যদি একসাথে বিনিয়োগ করতে সংশয় হয়,  তাহলে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (Systematic Investment Plan) তথা সিপ (SIP) -এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) -এ সিপ (SIP) হল ব্যাংক (Bank) এবং পোস্ট অফিস (Post Office) এর আরডি (RD) এর পরিবর্তিত রূপ। এখানে যেকোনো সময় বিনিয়োগ করা যায় , বন্ধ করা যায় কিংবা তুলে নেওয়া যায়। ন্যূনতম বিনিয়োগ এর বিষয়টি নির্ভর করে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) হাউসের স্কীম এর উপর। সাধারণত মাসে ৫০০ টাকা থেকে এসআইপি (SIP) শুরু হতে পারে, আবার সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই।




সিপ (SIP) এর বিনিয়োগ বৃদ্ধি এভাবে হয় :
যদি সিপ (SIP) এর মাধ্যমে কেউ ১০ বছর পর্যন্ত ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে থাকে, তাহলে তা বেড়ে ২.৩৮ লাখ টাকা হতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ শুধুমাত্র ১.২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি মাসে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখানে ধারণা করা হয় মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) এর রিটার্ন ১২ শতাংশ, যদিও মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) এর অনেক স্কীম ১০ বছরে এভাবে দ্বিগুণ পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে। মূলত এরকম ভালো রিটার্ন কম্পাউন্ডিং (Power of Compounding) এর জন্যই পাওয়া যায়।

জানুন কম্পাউন্ডিং (Power of Compounding) এর সুবিধা:
অর্থ বাজার এর বিশেষজ্ঞের মতে পরবর্তী বছর গুলোতে কম্পাউন্ডিং রিটার্ন বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি উদাহরণ এর সাহায্যে এটাকে বোঝানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সে ১০০ টাকা করে প্রতি বছর বিনিয়োগ শুরু করেন এবং অন্য একজন ব্যক্তি ঠিক এই পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন, কিন্তু ৩৫ বছর বয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করেন। দুজনেই যদি ৮ শতাংশ রিটার্ন পান তাহলে ৬০ বছর বয়সে প্রথম ব্যক্তির কাছে থাকবে ১২.২৩ লাখ টাকা, কিন্তু দেরিতে শুরু করা ব্যক্তির কাছে শুধুমাত্র ৭.৮
৯ লাখ টাকা থাকবে। অর্থাৎ, প্রথমে বিনিয়োগ শুরু করার জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বেশি লাভ হলো। একইভাবে, কোনো ব্যক্তি যদি ৩০ বছর পর্যন্ত ১০০০ টাকার বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার কাছে ৩২ লাখ টাকার ফান্ড তৈরী হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আনুমানিক ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরে হিসাব করা হয়েছে। একেই বিনিয়োগের দুনিয়ায় পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং(Power of Compounding) বলা হয়ে থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

আপনার আধার কার্ড কবে-কোথায়-কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়েছে? জানতে হলে এখনই পড়ুন

সরকার বিভিন্ন স্থানে ভেরিফিকেশনের জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে। বিভিন্ন ধরনের নথি থেকে পেপার ওয়ার্ক সব জায়গায় সরকারি আধার কার্ডের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে, একটি সম্পুর্ন সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনার আধার কার্ডের অপব্যবহার হতে পারে। ইউ আই ডি এ আই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার কার্ড কোথায় এবং কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল তা যাচাই করতে পারেন। হ্যাঁ, ইউ আই ডি এ আই এই সুবিধাটি দিয়েছে, যার অধীনে আপনি আধার অথেন্টিকেশন হিস্ট্রি বিষয়ক তথ্য পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, যদি আপনার অজান্তেই আপনার তথ্যের অপব্যবহার করা হয় তাহলে আপনি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। আপনাকে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে 1. আপনাকে আধার অথেন্টিকেশন হিস্ট্রি পেজে যেতে হবে। 2. আপনার আধার নাম্বার টি সেখানে লিখুন এবং নিচে দেওয়া সুরক্ষা কোড বা সিকিউরিটি কোড টা লিখে নিজের পরিচয় প্রমাণ করুন। 3. 'জেনারেট ওটিপি' তে ক্লিক করুন। 4 .এরপর আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। এর জন্য আপনার মোবাইলটি আপনার সঙ্গে থাকা জরুরি। সেই ও টি পি টি আপনাকে পেজে লিখতে হবে। 5. এরপর সা

কে ওয়াই সি : আপনার অর্থসুরক্ষা নিশ্চিত করে জালিয়াতির থেকে, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি।

কে ওয়াই সি বা নো ইওর কাস্টমার প্রক্রিয়ায় বর্তমানে অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি  হচ্ছে। সব ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন পড়ছে। বীমা হোক কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেও এর প্রয়োজন পড়ছে। এখনতো মোবাইল ওয়ালেট এর জন্যও এর প্রয়োজন পড়ছে। আসুন  জানি এই কেওয়াইসি এর প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটুকু। কে ওয়াই সি এর জন্য প্রয়োজন হয় আপনার তথ্যাদির কে ওয়াই সি প্রক্রিয়া পূর্ণ করার জন্য আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এইসব ব্যক্তিগত কাগজ পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট কোম্পানী আপনার পরিচয় সম্পর্কে প্রমাণ গ্রহণ করে যার দ্বারা আপনি গ্রাহক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য কেওয়াইসি প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করেছে। কেওয়াইসি এর ব্যাপারে কিছু জরুরী তথ্য -ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার অপব্যবহারে বাধা দেয় -কেওয়াইসি এর জন্য কোন কোন কাগজপত্র  জরুরী -কোথায় কোথায় কে হয়েছি প্রয়োজন হয় -কেওয়াইসি কেন প্রয়োজন ব্যাংক একাউন্ট ধারকদের নিরাপত্তা দেয় আজকাল অনেক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির খবর শোনা যায়। এইসব জালিয়াতি ঠেকাতে কেওয়াইসি প্রয়োজন ।

ঘরে বসেই WhatsApp এর মাধ্যমে ইনকাম করুন লক্ষ লক্ষ টাকা, শিখে নিন আজই

আমাদের ভবিষ্যত উন্নত করতে আমরা কিছু বিকল্প বিনিয়োগের জন্য সন্ধান। সরকারি স্কিম থেকে শুরু করে ব্যাংকের স্কিম পর্যন্ত, আজ আমাদের অনেক বিনিয়োগ বিকল্প রয়েছে। এমনকি নিজেদের জন্য সঠিক  বিকল্প খোঁজার পরও, আমরা অনেক সময় বিনিয়োগ করি না। কারণ আমরা ব্যাংক এবং কোম্পানীর মধ্যে ঝুট ঝামেলা এড়াতে চাই। কিন্তু এখন চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।এখন হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। আসুন বিশদভাবে জানি। যদি আপনি বাড়ীতে বসে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে মিউচুয়াল ফান্ড সরবরাহকারীর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পরে আপনাকে তাদের শর্তাবলীতে সম্মত হতে হবে। এর পরে, বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে বিনিয়োগ শুরুর জন্য মোবাইলে এসএমএস পাঠাতে পারবে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে এই সুবিধাটি শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের জন্য  যারা সিঙ্গেল হোল্ডিং ফর্ম্যা